করনীয় এই শীতে পেশিতে টানের জন্য

পেশিতে টান পড়ার সমস্যা কমবেশি সবারই আছে। শুধু শীত নয়, গরমকালেও যে কেউ এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। তবে শীতে পেশিতে টান পড়ার ঘটনা একটি বেশিই ঘটে থাকে। দৌড়াতে গিয়ে হোক কিংবা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে হোক, হঠাৎ টান লেগে যেতে পারে পা বা পিঠের পেশিতে। ঘুমানোর সময় কিংবা স্নান করে মাথা মোছার সময় কাঁধের পেশিতে টান লাগতে পারে। আবার কিছু না করেও অনেক সময় ব্যথা হয় পেশিতে।

সাধারণত পেশির মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সেই কারণেই প্রয়োজন মতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। আবার পেশিতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে। তখন ব্যথায় প্রচণ্ড কষ্ট হয়।

এ ক্ষেত্রে ব্যথা নিরাময়ে পেশিতে টান পড়লে যা করবেন-

পেশির দরকার পানি

শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে কি পেশির ব্যথা হবে না? এ নিয়ে অবশ্য চিকিৎসক মহলে মিশ্র মত রয়েছে। কারও মতে, পর্যাপ্ত পানি থাকলেও পেশির ব্যথা হতে পারে। তবে একটা বিষয়ে উভয় মহলই একমত। শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। তাই যখনই পিপাসা লাগবে, অল্প করে পানি পান করুন। এতে আপনার পেশি ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। পেশিতে আচমকা টান ধরে গেলেও সেই ব্যথা কম সময়ের জন্য থাকবে।

কার্বোহাইড্রেটে ‘না’ নয়

কার্বোহাইড্রেটে ‘না’ নয়, ভাত বা পাস্তা খেলে শরীর ভারী হয়ে যায় বলে মনে করেন? আসলে এরা কিন্তু আপনার পেশির জন্য খুবই দরকারি। এই ধরনের হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো পেশিকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশির আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায়, এই কার্বোহাইড্রেট থেকেই।

লবণ-চিনিতে নজর

পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ এই লবণে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাই বা বের হবে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই সোডিয়ামের মতো লবণের শরীরে উপস্থিতিটা খুব দরকারি। না হলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। চাইলে লবণ-চিনির পানিও খেতে পারেন।

মাল্টি ভিটামিনের উপকার

চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টি ভিটামিন খাওয়াটাও পেশির টানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম ভালো উপায়। কারণ সহজলভ্য মাল্টি ভিটামিনের মধ্যে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই দুটি যৌগই পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং

যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। এবং শরীরের চাহিদাতেই তারা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশির গুণগত মান তাতে ভালো হয়। তাই এই স্ট্রেচিং-এর দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশির টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
প্রযুক্তি সারাদিন