সৃষ্টি সম্বন্ধীয় তথ্য উদঘাটনে বড় ধরণের সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

সৃষ্টি সম্পর্কিত তথ্য উদঘাটনে বড় ধরণের সফলতা ।সম্প্রতি তারা প্রায় ১৭ লাখ বছর পূর্বে মারা যাওয়া একটি রাইনোর দাত থেকে তার জিনেটিক তথ্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছেন। যেই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে এই জিনেটিক তথ্য উদঘাটন করা হয় তাকে বলা হচ্ছে গেম চেঞ্জার। এর মধ্য দিয়ে বিবর্তনকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেলো আধুনিক বিজ্ঞান।

নতুন এই আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা এই প্রথমবারের মতো এত আগের কোনো জিনেটিক তথ্য উদঘাটন করতে পারলেন। এরফলে তারা এখন হুবোহু সেই প্রাণীর মতো আরেকটি প্রাণীকে বর্তমানে নিয়ে আসতে পারবেন। জিনগত তথ্য মুছে যাওয়ার কারণে অনেক আগে মারা যাওয়া প্রাণীদের ক্ষেত্রে এতদিন এটি সম্ভব ছিলো না। কিন্তু নতুন এ আবিষ্কার এখন বিজ্ঞানীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। গবেষণার নেতৃত্বে থাকা প্রফেসর এনরিকো ক্যাপেলিনি বলেন, আমরা যে সমাধান নিয়ে এসেছি এর মধ্য দিয়ে ডিএনএ থেকে তথ্য পাওয়ার সীমাবদ্ধতা দূর হয়ে গেছে।

এখন এটি যেকোনো বড় আকৃতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যাবে।

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রাচীন ডিএনএ তথ্যকে কাজে লাগিয়েই পৃথিবীর প্রজাতিগুলোর বিবর্তনের প্রক্রিয়া উদঘাটন করতে হতো। তবে এর একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এবার সেই সীমাবদ্ধতা দূর হয়েছে। নতুন এই গেম চেঞ্জার পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে আরো অনেক প্রাচীন প্রাণীর তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

এর আগে সবথেকে প্রাচীন ডিএনএ তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো ৭ লক্ষ বছর পূর্বের একটি ঘোরার। মানব বিবর্তনের তথ্য পাওয়া যায় ৪ লাখ বছর পূর্বেকার। তবে আধুনিক মানুষের বিবর্তন শুরু হয়েছিলো অন্তত ৬০ থেকে ৭০ লাখ বছর পূর্বে। ফলে মানব বিবর্তনের প্রথম দিককার কোনো তথ্যই বিজ্ঞানীরা খুঁজে পাননি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আধুনিক মানুষ ও বিলুপ্ত হওয়া হোমো এরেক্টাসের মধ্যে যে সংযোগ তা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র এই জিনেটিক তথ্য না থাকার কারণে। তবে নতুন এ পদ্ধতিতে কয়েক মিলিয়ন বছর পূর্বের তথ্যও সঠিকভাবে পাওয়া সম্ভব। তাই এই গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দার উন্মোচিত হলো।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন
প্রযুক্তি সারাদিন