মোবাইলে অচেনা নম্বর থেকে ক্রমাগত কল বা মিসকল আসার মতো বিরক্তিকর ব্যাপার কিছুই হতে পারে না। বিশেষত মেয়েদের জন্যে এই ভোগান্তি তো একেবারেই অলিখিত। বকাঝকা, ফোন সাইলেন্ট করে রাখা কোন কিছুতেই যেন কাজ হয় না।
কিন্তু ভাবুন তো, অচেনা এই লোকটির নাম ঠিকানা যদি এক মিনিটেই আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসে, আর আপনি উলটো তার নাম ধরে ডেকে বেশ ভালো রকম একটা হুমকি দিতে পারেন, কিংবা সহজেই পুলিশের কাছে তার নাম ঠিকানা দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে কি ভালোটাই না হত! না স্বপ্ন নয় একেবারেই, প্রযুক্তির উত্কর্ষে এই ছোট্ট কাজটি আপনি করতে পারেন স্রেফ ঘরে বসেই। আপনার স্মার্টফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকে কয়েক সেকেন্ডেই নামিয়ে নিতে পারেন, এইসব অচেনা নম্বার থেকে ফোনদাতার নাম ঠিকানা, সবই।
ট্রু-কলার
এই ছোট্ট অ্যাপসটি পাবেন গুগল প্লে স্টোরে। এটি আপনার ফোনে ইন্সটল করে নিন। তারপর কোন অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলেই, স্রেফ জাদুর মতো আপনার ফোনে ভেসে উঠবে কলদাতার নাম। তবে হ্যাঁ, শর্ত প্রযোজ্য। সেই নম্বরটি যদি তার নামে রেজিস্ট্রেশন করা থাকে, তবেই আপনি এই সুবিধাটা পাবেন। আর সেই লোক যদি ফেসবুকে এই নম্বরটি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তো দেখতে পাবেন তার ছবি সহই! দেখে নিন তো, পরিচিত কেউই আপনার সঙ্গে এই বিরক্তিকর আচরণটি করছে কিনা! বাড়তি পাওনা হিসেবে বিনেপয়সায় আপনি এই কলদাতাকে ব্লক করে রাখতে পারবেন।
ফেসবুক
বার বার ফোন করতেই থাকা বিরক্তিকর নম্বরটিকে কিন্তু আপনি ট্র্যাক করতে পারেন ফেসবুকের মাধ্যমেও। ফেসবুকের সার্চ অপশনে গিয়ে ফোন নম্বরটি টাইপ করুন। সে ব্যক্তি যদি এই ফোন নম্বরটি তার অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করে (করার সম্ভাবনা খুব বেশি), তাহলে তাকে সহজেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
লাইন হুজকল
অনেকটা ট্রু-কলারের মতোই এটিও অচেনা ফোনদাতার রেজিস্টার্ড নাম ও অন্যান্য তথ্য ও তার মোবাইলে লোকেশন অন থাকলে তার ঠিকানা অব্দি দেখিয়ে দেবে আপনাকে।
মোবাইল নম্বর লোকেটর
অচেনা নম্বর থেকে ফোনদাতার রেজিস্টার্ড নাম জানবে এই অ্যাপটি। অ্যাপটির অন্যতম সুবিধা হচ্ছে, এটি ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই কাজ করে। ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল চলাকালীনই কলারের ও প্রাপকের বিস্তারিত জানিয়ে দেয় এই অ্যাপ। গুগল ম্যাপের সাহায্যে এই অ্যাপ কলারের লোকেশনও দেখিয়ে দেবে।
আপনি আপনার সুবিধামত যে কোনটি বেছে নিতে পারেন। আর দেরি কেন, মুখোশ খুলে নিন বিরক্তিকর ফোন বা মিসকলদাতার।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন